আরও ৫ ব্যাংকের এমডিকে বাধ্যতামূলক ছুটি
পাঁচ ব্যাংক হলো- এক্সিম ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক এবং আইসিবি ইসলামী ব্যাংক।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। ফাইল ছবি
আমানতকারীদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। কিন্তু যাদের কারণে ব্যাংকিং খাতে রক্তক্ষরণ হচ্ছে, তারা ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। ব্যাংকের খেলাপি ঋণের সঠিক তথ্য জনগণ জানতে পারছে না।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেছেন, সুশাসনের অভাবে সামগ্রিক অর্থনীতিকে ধারণ করার সক্ষমতা হারাচ্ছে ব্যাংকিং খাত। তিনি বলেন, ব্যাংকিং খাতে নৈরাজ্য এমন পর্যায়ে গেছে যে আইএমএফের পরামর্শক্রমে ব্যাংক একীভূতকরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হচ্ছে। কিন্তু যথেষ্ট পূর্ব প্রস্তুতি না থাকায় একীভূতকরণ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। জোর করে ব্যাংক একীভূতকরণ টেকসই হতে পারে না।
শনিবার (১৮ মে) ঢাকার এফডিসিতে ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতার প্রধান অতিথি ফাহমিদা খাতুন এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী।
ফাহমিদা খাতুন বলেন, আমানতকারীদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। কিন্তু যাদের কারণে ব্যাংকিং খাতে রক্তক্ষরণ হচ্ছে, তারা ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। ব্যাংকের খেলাপি ঋণের সঠিক তথ্য জনগণ জানতে পারছে না।
সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী বলেন, সম্প্রতি সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশ করতে না দেওয়া নিয়ে সাংবাদিকদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে, যার ব্যাখ্যা বাংলাদেশ ব্যাংকের দেওয়া উচিত। তিনি আরও বলেন, সরকারের উন্নয়নে সহায়ক হিসেবে কাজ করে গণমাধ্যম। দেশের আর্থিক খাতের বড় বড় অনিয়মের সংবাদ প্রকাশ করে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেছেন সাংবাদিকেরা। বাজেটের আগে বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকারে যে বাধা তৈরি করা রয়েছে, তা অচিরেই দূর করা উচিত। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি, ভল্টের স্বর্ণ খোয়া যাওয়া, ঋণখেলাপি, ঋণ জালিয়াতি, অর্থ পাচারসহ বিভিন্ন অনিয়ম গণমাধ্যমে তুলে ধরা সাংবাদিকদের অপরাধ নয়, বরং পেশাগত দায়িত্ব।
এ বাস্তবতায় আর্থিক খাতের শৃঙ্খলা বজায় রেখে ব্যাংক একীভূতকরণের মাধ্যমে গ্রাহকদের আস্থা ধরে রাখতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির পক্ষ থেকে ১০ দফা সুপারিশ করা হয়।
সেগুলো হলো-
১) ব্যাংক থেকে নামে-বেনামে আত্মসাৎ করা অর্থ আদায়ে বিশেষ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে ও প্রয়োজনে প্রচলিত আইনের সংস্কার করে অপরাধীদের বিচারের ব্যবস্থা করা, ২) আর্থিক খাতে জবাবদিহি ও সুশাসন নিশ্চিতে স্বাধীন ব্যাংক কমিশন গঠন করা, ৩) ঋণ জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিসহ ঋণখেলাপি ও অর্থ পাচারকারীদের নামের তালিকা জাতীয় সংসদে প্রকাশ করা, ৪) আর্থিক খাতে জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি ও ঋণখেলাপিদের সব ধরনের নাগরিক সুবিধা সীমিতকরণ, বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা ও তাদের নতুন ঋণ না দেওয়াসহ দুদকের মাধ্যমে তদন্ত করা, ৫) যারা ব্যাংকগুলোকে দুর্বল করে লুটপাট করেছেন, তাদের বিচারের মুখোমুখি করা, ৬) দুর্বল ব্যাংকগুলোর আমানত গ্রহণ ও বিতরণ ছাড়া অন্য সব কার্যক্রম বন্ধ করে ক্ষতির দায় কে নেবে, তা স্পষ্ট করা, ৭) বাংলাদেশ ব্যাংকে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রবেশ নিয়ে সাংবাদিকদের মধ্যে যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে, তা নিরসন করা, ৮) রিজার্ভ চুরির জন্য দায়ীদের চিহ্নিত করে অর্থ প্রাপ্তির পরিমাণ ও অগ্রগতি সম্পর্কে গণমাধ্যমকে অবহিত করা, ৯) ব্যাংকের মালিকানা ও ব্যবস্থাপনা আলাদা করা, ১০) ব্যাংক একীভূতকরণ প্রক্রিয়ার সুফল পেতে গণমাধ্যমের নিরপেক্ষ ভূমিকা নিশ্চিত করা।-খবর বিজ্ঞপ্তি
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল শীর্ষ অর্থনীতি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয়- ফিচার, ভ্রমণ, জীবনযাপন, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন sanewsad@gmail.com ঠিকানায়।
পাঁচ ব্যাংক হলো- এক্সিম ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক এবং আইসিবি ইসলামী ব্যাংক।
নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা দিয়ে ২০২৪ সাল শুরু হয়েছিল। বছরের মাঝামাঝি থেকে ছিল আন্দোলন–বিক্ষোভ। একপর্যায়ে সরকার পতন এবং অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পরও অস্থিরতা। অর্থনৈতিক সংকট লেগে ছিল বছরের শুরু থেকে। আমদানি–রপ্তানি পণ্য পরিবহনে এসব প্রভাবের মুখোমুখি হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর। তবুও বছর শেষে পণ্য পরিবহনে নতুন রেকর্ড গড়েছে চট্টগ্রাম বন্দর।
অন্তর্বর্তী সরকার একক তথ্যভাণ্ডার তৈরির উদ্যোগ নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, ব্যবসায়ীরা যেন এক জায়গা থেকে সব তথ্য পেতে পারেন, সে কারণে সরকার একটি জাতীয় তথ্যভাণ্ডার তৈরি করার চেষ্টা করছে।